ঢাকা থেকে সরাসরি সুন্দরবন ভ্রমনিচ্ছুক পর্যটকদের জন্য এমন সুযোগ বার বার আসবেনা। ঢাকা থেকে ৪ দিন ৩ রাতের ট্যুরে আমাদের সাথে থাকছে প্রিমিয়াম এসি লাক্সারি ট্যুরিস্ট শিপ এম ভি এভারলাইন । আসন সংখ্যা খুবই সীমিত।
আমাদের অত্যাধুনিক শিপে আছে ৫০ জন ট্যুরিষ্ট ক্যাপাসিটি।২০ জনের জন্য ১০ টা এটাস্টবাথ কাপল বেড কেবিন। ৩০ জনের জন্য কমন ওয়াশরুম কেবিন। সম্পুর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড়ো ডাইনিং কাম কনফারেন্স রুম এবং সবচেয়ে বড়ো খোলা রুফটপ।
ট্যুরিস্টদের আতিথেয়তার জন্য রয়েছে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাধুনি, অভিজ্ঞ ট্যুর গাইড, অভিজ্ঞ স্টাফ দ্বারা পরিচালিত শিপ।
প্যাকেজ এর বিস্তারিত:
রুট: ঢাকা – সুন্দরবন – খুলনা (খুলনা তে ট্রিপ শেষ, চাইলে বাস বা ট্রেন এ ঢাকা ফিরতে পারবেন, টিকেট এর ব্যাপার এ সহযোগিতা করা হবে)
বিদেশীদের জন্য অতিরিক্ত ৮,৫০০/- টাকা প্রদান করতে হবে ফরেষ্ট এন্ট্রি ফি বাবদ।
প্যাকেজ প্লান:
১ম দিন – সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঢাকা নৌ পুলিশ ঘাট থেকে যাত্রা শুরু। শিপে আগত ট্যুরিস্ট দের ওয়েলকাম ড্রিংক্স দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে যার যার কেবিন বুঝে নেয়া । এরপর যাত্রা শুরু করবো সুন্দরবন এর উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে চোখে পড়বে চরমোনাই পীরের মাজার সহ অনেক কিছু। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭/৮ টায় আমরা পৌছে যাবো বরিশাল এর নলসিটি বা আশেরপাশের কোন নিরাপদ স্থানে।
১ম রাত – শিপে অবস্থান
২য় দিন – খুব ভোরে সুন্দরবন এর উদ্দেশ্যে আবারো যাত্রা শুরু করে আমরা পৌছে যাবো শরনখোলা ফরেস্ট স্টেশন এ। সেখানে বন বিভাগের রাজস্ব প্রদান সহ সকল কার্যক্রম শেষ করে গানম্যান নিয়ে যাত্রা শুরু করবো কচিখালি ফরেস্ট অফিস এর উদ্দেশ্যে। লাঞ্চ এর আগে বা পরে আমরা ডিমেরচর এ নেমে সাগরের পানিতে কিছুক্ষণ ঝাপাঝাপি করবো। এরপর বিকালে কচিখালি ছনবন (টাইগার পয়েন্ট) স্পট ঘুরে দেখবো। কচিখালিতে বন্যপ্রানীর পানি খাবার জন্য একটি মিষ্টি পানির পুকুর আছে। আছে বন ও বন্যপ্রানী পর্যবেক্ষণ করার জন্য আছে ওয়াচ টাওয়ার।কচিখালি ট্যুরিজম স্পট ঘুরে আমরা শিপে ফিরে আসবো।
২য় রাত – শিপে অবস্থান (কচিখালি/কটকায়)
৩য় দিন – খুব সকাল আনুমানিক ৫/৬ টায় কটকা অফিস পার ও তিন টিলা সহ এলাকা ভ্রমন করা এবং জাহজে ফিরে এসে ব্রেকফাষ্ট করে জামতলা সী বীচের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। যাওয়ার পথেই আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও টাইগার পয়েন্টের ভিতর থেকে হেঁটে যাবো। বীচে ১ ঘন্টা সময় দিয়ে আমরা আবার জাহাজে ফিরে আসবো। (কটকা জামতলা বীচ যাওয়া আসা আনুমানিক ৬ কিলোমিটার)। (বিদ্র: জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে স্পট আগে পিছে হতে পারে)
বিকেলে সময় সাপেক্ষে কটকার আশেপাশের ছোট খালে ট্রলার ভ্রমণ৷
৪র্থ দিন – সকালে আমরা আন্ধারমানিক ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ঘুরবো। সময় সাপেক্ষে এর আশে পাশে ক্যানেল ক্রুজিং করে জাহাজে ফিরে আসবো। দুপুরের আগে আমরা করমজল ভ্রমন করবো। করমজল একটি মিনি জু ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার মত সুন্দর একটি হাটার কাঠের ট্রেইল আছে। আছে অনেক উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। সুন্দরবনের বড় ম্যাপটিও এখানে। করমজল ভ্রমন শেষে শিপে ফিরে এসে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা করবো। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭/৮টার দিকে খুলনা পৌছে ট্যুরের সমাপ্তি ঘোষনা করা।